বন্ধ চাঁদাবাজি,স্বস্তি ফিরেছে ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোতে


Share on

বন্ধ চাঁদাবাজি,স্বস্তি ফিরেছে ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোতে

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার রাজধানীর কোচিং সেন্টারগুলোয় স্বস্তি ফিরেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা এ কোচিংগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিচয়ে নানা ফরমেটে চলতো চাঁদাবাজি। কখনো নগদ টাকা দাবি, কখনো বিনা খরচ বা নূন্যতম খরচে শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ দেয়া হতো কোচিংগুলোয়। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সে প্রবণতা কমেছে। যদিও আগের চাঁদাবাজরা নতুন পরিচয়ে ফের চাপ দিচ্ছেন বলেওকয়েকটি কোচিং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কোচিং সেন্টার পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

চাঁদাবাজির পন্থা হাজির করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কোন কোন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এসে কোচিংগুলোতে ভর্তি করতেন নেতারা। কখন নামমাত্র ফি দিয়ে, কখনো ফি ছাড়াই ভর্তি করা হতো তাদের। তবে ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফি নিতেন দলীয় পরিচয়ধারী নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারগুলোর জন্য ‘গলার কাঁটায়’ পরিণত হতো। 

ফোকাস কোচিং সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে তাদের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী ছিল নানা চাঁদাবাজির কোটায় ভর্তি হওয়া। অর্ধেক না হলেও উল্লে যোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী চাঁদাবাজির কোটায় ভর্তি করা হতো বলে অভিযোগ করেছেন ইউসিসি-মেরিন গাইডসহ বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার। কোচিং সেন্টারগুলো সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তেজাগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পরিচয়ে সবচেয়ে বেশি চলতো চাঁদাবাজি। 

তবে কোচিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি ঘটনার সংখ্যা নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়। তাই এখন স্বস্তি ফিরেছে। তবে কতদিন তা থাকবে?-সে প্রশ্ন শঙ্কা বাড়াচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো সংশ্লিষ্টদের। 

 

2024-09-17



Views: 7 times